রাসূলুল্লাহ সা.-এর প্রশিক্ষণ -মো. রাশেদুল ইসলাম

চতুর্থ কিস্তি

আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ
আধ্যাত্মিকতা নিয়ে আধুনিক যুগে অনেকের মনে দোলাচল আছে। আসলেই আত্মার সাথে আত্মার সম্পর্ক অথবা আত্মা হতে আত্মায় কোনো কিছু স্থানান্তর সম্ভব(?), এমন প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন অথবা অনেকেই এমন বিষয় নিয়ে ভাবা বাদ দিয়ে দৃশ্যমান বিষয় নিয়ে ভাবতে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বর্তমান সময়ে এই পরিস্থিতি আরো প্রকট হওয়ার কারণ হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে কম ভাবা এবং ক্ষেত্রবিশেষে না ভাবা। আসলে মহান আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করতে আত্মা সম্পর্কে উদাসীনতার সুযোগ নেই; একথা সকল বিশ্বাসী মাত্রই নিশ্চিত।

মানুষের মস্তিষ্কে উপলব্ধি এবং স্মরণ করার বিষয়টি কেমন করে সম্পন্ন হয় এ বিষয়ে আমাদের নিশ্চিত কোনো জ্ঞান নেই। তখন আত্মিক বিষয়গুলো মেনে নেয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকে না। স্বাভাবিক চিন্তায় আমরা মুসলিমরা এ কথা স্বীকার করে থাকি যে, আত্মা প্রত্যেক মানুষের এমন এক অদৃশ্য শক্তি যা সর্বময় ক্ষমতাধর কারো সাথে সম্পর্কিত। আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানের আবিষ্কারে এই অদৃশ্য শক্তিকে নিশ্চিতভাবে সক্ষম কোনো শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এজন্য অদৃশ্য বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন মুমিনের জন্য অপরিহার্য।
যেহেতু মানুষের আত্মা একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর গণ্ডির বাইরে কোনো নিয়ন্ত্রকের হাতে নেই। সেহেতু একথা আমরা মানতে বাধ্য যে, মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মূল মাধ্যমও আত্মা। আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে বলবো- আত্মা এমন এক জিনিস, যা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভে মানুষকে পথনির্দেশ করে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন-
আর হে নবী! লোকদের স্মরণ করিয়ে দাও সেই সময়ের কথা, যখন তোমাদের রব বনি আদমের পৃষ্ঠদেশ থেকে তাদের বংশধরদের বের করেছিলেন এবং তাদেরকে তাদের নিজেদের ওপর সাক্ষী বানিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আমি কি তোমাদের রব নই?” তারা বলেছিল, “নিশ্চয়ই তুমি আমাদের রব, আমরা এর সাক্ষ্য দিচ্ছি।” এটা আমি এ জন্য করেছিলাম যাতে কিয়ামতের দিন তোমরা না বলে বসো, “আমরা তো এ কথা জানতাম না।” (সূরা আরাফ : ১৭২)

কোনো কিছু বানালে তাতে যদি মেশিন স্থাপন করা হয়, তাহলে তা কারিগরের মর্জি মতো চলতে থাকে। যেমন ধরা যাক গাড়ি নির্মাণ করার পর তা কেমন গতিতে চলবে, কতটুকু জ্বালানি প্রয়োজন; তার সবকিছু নির্ভর করে গাড়ি নির্মাতার পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের উপর। তেমনি মানুষের আত্মা বিনা বাধায় এবং কোনো বিশেষ তাগাদা ছাড়াই আল্লাহর দিকে অনুগত হয়; উপরের আয়াতের ঘোষণা অনুযায়ী এটি মূলত সৃষ্ট আত্মার প্রকৃতিগত কারণেই স্বাভাবিকভাবে হয়ে থাকে। আমরা এই লেখার দ্বিতীয় পর্বে সূরা রূমের ৩০ নং আয়াতের উল্লেখ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি যে, মানুষের আত্মা তার প্রকৃতিগতভাবেই আল্লাহর নির্দেশমতো জন্মলগ্ন থেকেই চলতে থাকে।
আত্মার বিষয় চিন্তা করার সাথে সাথে আরেকটি বিষয় খেয়াল করা জরুরি, তা হলো- আত্মা যেমন মহান আল্লাহর নির্দেশনার সাথে সম্পর্কযুক্ত, তেমনি আল্লাহ এই আত্মাকে চিন্তা করার স্বাধীনতা দিয়েছেন। পথ বলে দিয়েছেন ভালো এবং মন্দের। সে পথ চেনার সক্ষমতা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন-
“মানুষের নফসের ও সেই সত্তার কসম যিনি তাকে ঠিকভাবে গঠন করেছেন। তারপর তার পাপ ও তার তাকওয়া তার প্রতি ইলহাম করেছেন। নিঃসন্দেহে সফল হয়ে গেছে সেই ব্যক্তি যে তার নফসকে পরিশুদ্ধ করেছে এবং যে তাকে দাবিয়ে দিয়েছে সে ব্যর্থ হয়েছে।” (সূরা শামস : ৭-১০)

এখানে আলোচনা বেশ ক্লিয়ার। মানুষ তার স্বাভাবিক চলার পথে আল্লাহর দেয়া সেই সফলতার পথ যাতে সত্য নিহিত, তা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে ব্যর্থতার পথেই ধাবিত হয়। এর কারণ হচ্ছে- অনেক সময় তার স্বভাব প্রকৃতিতে এমন কিছু রোগ-ব্যাধি, সত্য-বিমুখতা বা এমন বক্রতা বাসা বাঁধে যার কারণে সে সরল সঠিক পথ বাদ দেয়, মহান আল্লাহর সাথে তার আত্মার যে ওয়াদা তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চায় এবং আল্লাহর দেখানো সেই সরল পথকে এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এর দ্বারা একেবারে আল্লাহর সাথে পুরোপুরি সম্পর্কমুক্ত হতে পারে না। কিছু না কিছু আকর্ষণ ও সম্পর্ক থাকেই। সেই আকর্ষণ ও সম্পর্কই অনেক সময় তাকে মহান আল্লাহর দিকে রুজু করে দেয়। বলা যায় যে, এভাবেই সে সরল সঠিক পথ থেকে মাঝে মাঝে ছিটকে পড়লেও বা হোঁচট খেলেও পরে আল্লাহর সাথে আত্মিক সম্পর্ক থাকার কারণেই পুনরায় সে দাঁড়িয়ে যায় এবং আল্লাহর দেখানো সরল-সোজা পথে চলতে থাকে ও চূড়ান্ত মনজিল জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

একটি বিষয় আমাদের আলোচনার সাথে সমান্তরালে রাখতে হবে। তা হলো, মানুষ কি সবসময় তার আত্মার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক অনুভব করতে পারে(?)। অর্থাৎ মহান আল্লাহর সাথে মানবাত্মার টান অনুভূত হওয়ার বিষয়টি সবসময় সম্ভব কিনা, তা নিয়ে একটু ভাবতে হবে। কেননা, তা নাহলে একথা সকলেই ধরে নেবে যে, পাপ কাজ যাই করি না কেন, আল্লাহর সাথে যেহেতু আত্মার টান রয়েছে, শেষতক আল্লাহ আমাকে পার করে নেবেন(!)। আসলে বিষয়টি মোটেই সে রকম নয়।
দুনিয়াতে মানুষের আল্লাহ বিমুখতার কারণগুলো বিবেচনা করলে এ বিষয়টি শরতের সকালের মতো সফেদ হয়ে যাবে আমাদের কাছে। মানুষকে আল্লাহ সাফল্য এবং ব্যর্থতার পথ দেখিয়েছেন। পাশাপাশি কোন কাজ করলে কোন পথে আমি যাবে, তাও বলে দিয়েছেন। নিম্নের দু’টি আয়াতে আমরা দেখি, আল্লাহ কী বলেছেন-
আমি তাকে রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছি। এরপর হয় সে শোকরগোজার হবে নয়তো হবে কুফরের পথ অনুসরণকারী। (সূরা দাহর : ৩)

যারা ঈমান আনে আল্লাহ তাদের সাহায্যকারী ও সহায়। তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর মধ্যে নিয়ে আসেন। আর যারা কুফরের পথ অবলম্বন করে তাদের সাহায্যকারী ও সহায় হচ্ছে তাগুত। সে তাদের আলোক থেকে অন্ধকারের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। এরা আগুনের অধিবাসী। সেখানে থাকবে এরা চিরকালের জন্য। (সূরা বাকারা : ২৫৭)

এখানে প্রথমোক্ত আয়াতে আল্লাহ সুস্পষ্ট দু’টি পথ বাতলে দিয়েছেন। দ্বিতীয় আয়াতের মাধ্যমে পথ দু’টিতে চলার নিয়মনীতিও বলে দিয়েছেন। আসলে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থায়ী করার জন্য ভুল পথ থেকে সরে আসা জরুরি। কেউ খারাপ কাজে লিপ্ত থেকে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক পাকাপোক্ত করার সুযোগ পাবে এমন সুযোগ নেই। বরং উক্ত খারাপ কাজের দ্বারা তাকে আল্লাহর আলো থেকে অনেক দূরের অন্ধকার গলিতে নিয়ে ফেলে দেবে তাগুত বা শয়তান। একজন মুমিনকে খাঁটি মুমিনে পরিণত হতে হলে আল্লাহ নির্ধারিত সীমার বাইরের সকল অবাঞ্ছিত জীবনধারা থেকে দূরে থাকতে হয়। এ বিষয়ে আমরা এ প্রবন্ধের প্রথম পর্বে উল্লেখ করেছি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবাদের যে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে এই বিষয়টি অন্যতম ছিলো।

বাস্তবিক কথা হচ্ছে, আমাদের সমাজে এই ঘটনাই বেশি ঘটছে। আমরা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক রেখে চলাকে শেষ অবলম্বন মনে করে শয়তানের সাথে মৌল সম্পর্ক রাখছি এবং মনে করছি আল্লাহ তা না দেখার ভান করবেন এবং আমাদেরকে তাঁর দিকে আরো বেশি করে টেনে নেবেন। আসলে তা ঘটার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন-
“যখন এরা মু’মিনদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে- আমরা ঈমান এনেছি, আবার যখন নিরিবিলিতে নিজেদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে-আমরা তো আসলে তোমাদের সাথেই আছি আর ওদের সাথে তো নিছক তামাশা করছি। আল্লাহ এদের সাথে তামাশা করছেন, এদের রশি দীর্ঘায়িত বা ঢিল দিয়ে যাচ্ছেন এবং এরা নিজেদের আল্লাহদ্রোহিতার মধ্যে অন্ধের মতো পথ হাতড়ে মরছে। এরাই হিদায়াতের বিনিময়ে গোমরাহি কিনে নিয়েছে, কিন্তু এ সওদাটি তাদের জন্য লাভজনক নয় এবং এরা মোটেই সঠিক পথে অবস্থান করছে না। এদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে, যেমন এক ব্যক্তি আগুন জ্বালালো এবং যখনই সেই আগুন চারপাশ আলোকিত করলো তখন আল্লাহ তাদের দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিলেন এবং তাদের ছেড়ে দিলেন এমন অবস্থায় যখন অন্ধকারের মধ্যে তারা কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। তারা কালা, বোবা, অন্ধ। তারা আর ফিরে আসবে না।” (সূরা বাকারা : ১৪-১৮)

এজন্য আত্মিকভাবে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক নিশ্চিত করার জন্য আমাদেরকে এ ব্যাপারে ধারণা পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন আমল প্রয়োজন। কিন্তু আমরা এ-ও দেখি, জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে গুণগত আমল করা সম্ভব হয় না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আমরা অনেক সময় মহান আল্লাহর গণ্ডি সম্পর্কে ধারণা রাখি না, বিধায় আল্লাহর বড়ত্ব-মহত্ত্ব বিষয়ে মনে উদাসীনতা তৈরি হয়। তখন আল্লাহর প্রতি আত্মিক টান বাস্তবিক হয়ে ওঠে না। আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়। আমরা এ বিষয়টি অনেক সময় বুঝতেও পারি না যে, আমি আল্লাহর সাথে ব্যাকুল হৃদয়াবেগ নিয়ে সম্পর্ক রাখতে পারছি না।

আল্লাহর বড়ত্ব নিয়ে কমবেশি ধারণা আমাদের সকলেরই রয়েছে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট মহান আল্লাহ তাঁর ব্যাপারে ধারণা প্রদান করতে গিয়ে বলেন-
“তিনিই রাত্রিকালে তোমাদের মৃত্যু ঘটান এবং দিবসে তোমরা যা কিছু করো তা জানেন। আবার পরদিন তোমাদের সেই কর্মজগতে ফেরত পাঠান, যাতে জীবনের নির্ধারিত সময়-কাল পূর্ণ হয়। সবশেষে তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি জানিয়ে দেবেন তোমরা কি কাজে লিপ্ত ছিলে। (সূরা আনআাম : ৬০)

তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান প্রত্যেক জিনিসের জ্ঞান রাখেন। তিনি মহান ও সর্বাবস্থায় সবার ওপর অবস্থান করেন। তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি জোরে কথা বলুক বা নিচু স্বরে এবং কেউ রাতের আঁধারে লুকিয়ে থাকুক বা দিনের আলোয় চলতে থাকুক। (সূরা রা’দ : ৯-১০)

এই বিষয়ে ধারণা লাভ করার পর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রতি হৃদয়াবেগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আল্লাহর নৈকট্য লাভের বিষয়ে আরো বেশি মনোনিবেশ করেছিলেন। আর সাহাবাগণ তার পূর্ণ অনুসরণ করে অন্তরকে আল্লাহর দিকে আরো বেশি করে রুজু করেছেন। উপরের আয়াতগুলো যখন কোনো মুমিন অধ্যয়ন করবে এবং হৃদয় নিয়ে অনুধাবন করবে, তখন আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব-মহত্ত্ব এবং একচ্ছত্র ক্ষমতার কথা বিবেচনায় আনার ফলে তার হৃদয় সর্বক্ষণ এবং সদা-সর্বদা মহান আল্লাহর দিকে মনোযোগী হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এ মনোযোগ উক্ত মুমিনের হৃদয় ও আল্লাহর মধ্যে এক শক্ত সম্পর্ক তৈরি করে দেয়। আর এ সম্পর্ক সকল কাজ এবং চিন্তাক্ষেত্রে সর্বদা এমনভাবে বিরাজ করতে থাকে, যেন অন্তর কোনোভাবে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না হয়। পাছে আল্লাহর সাথে হৃদয়ের দূরত্ব তৈরি হয়!

বাস্তবিক ঘটনা হচ্ছে, কুরআনের সাথে আমরা সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে এবং হৃদয়ে স্থান দিতে পারলে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক এবং মুত্তাকি হওয়া আমাদের জন্য স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হবে। অন্য কথায় বলতে গেলে এভাবে বলা যায় যে, কুরআন প্রকৃত অর্থে মুমিনের হৃদয় এবং আল্লাহর মধ্যে সেতুবন্ধকারী। সাহাবাদের কাছে এই সুযোগটি উপস্থাপন করার সাথে সাথে তাঁরা তা গ্রহণ করে সোনার মানুষে পরিণত হয়েছিলেন। সেই সুযোগ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন-
“আল্লাহ সর্বোত্তম বাণী নাযিল করেছেন, এমন একটি গ্রন্থ যার সমস্ত অংশ সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ের পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। এসব শুনে সে লোকদের লোম শিউরে ওঠে, যারা তাদের রবকে ভয় করে। তারপর তাদের দেহ মন বিগলিত হয়ে আল্লাহর স্মরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এটা হচ্ছে আল্লাহর হিদায়াত। এর দ্বারা তিনি যাকে ইচ্ছা সঠিক পথে নিয়ে আসেন। আর যাকে আল্লাহ নিজেই হিদায়াত দান করেন না তার জন্য কোনো হিদায়াতকারী নেই।” (সূরা যুুমার : ২৩)

আমরা আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কয়েকটি পদ্ধতি সবিস্তারে আলোচনা করতে চাই। তার মূল পয়েন্টগুলো এখানে উল্লেখ করছি-
১. বিশুদ্ধ আকিদা পোষণ।
২. হৃদয়ের রোগ দূরীকরণ।
৩. আল্লাহর প্রতি পূর্ণ সমর্পণ।
(চলবে)
লেখক : সম্পাদক, প্রেরণা

মন্তব্য